এবার আমার উমা এলে বলবো সবই খোলাখুলি –
মনের মাঝে এত দিনের জমিয়ে রাখা কথাগুলি ।
তোমার বাবা গিরিরাজের
বয়স তো আর কম নয়
!
Retire করে আয় কমেছে। করলো খানিক নয় ছয়
টাকাকড়ি । ভাইটি তোমার উড়নচণ্ডে মৈনাক ।
বলতে গেলে মহাভারত। সেসব কথা না হয় থাক ।
মহেশ্বরের ছত্র-ছায়ায়
তুমি মাগো আছো সুখে ;
অন্নপূর্ণা হয়ে তুমি
অন্ন যোগাও সবার মুখে ।
Talented সব ছেলে মেয়ে,
বড় বড় চার চারটি –
বুড়ো বুড়ির খবর নিতে
আসেওনা কেউ একবারটি ।
বাঙালিদের আবদারেতে
সম্বৎসরে একটিবার
-
বাপের বাড়ি visit কর - week end দেখে দিন তিন চার ।
সঙ্গে আসে ছেলেমেয়ে, ওরাতো আর ছোটটি নেই -
বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেল, move out করার নামটি নেই ।
লোকের মুখে শুনি
প্রায়ই, লক্ষীর নাকি ভালো বিয়ে –
শ্রী জনার্দন স্বামী
তাহার। সবই ভালো, তবে ইয়ে –
কাজের মধ্যে বসে
শুধু লক্ষী করেন পদসেবা,
এটা কেমন Life style ! সেই কথাটা বলে কেবা
!
গণপতি বাবাজীবন, health এর দিকে নজরই নেই
করে সবাই হাসাহাসি, ওই ভুঁড়ির দিকে তাকালেই ।
ফুল-বাবুটি কার্তিকেয় পা বাড়িয়ে আছেন যেন,
হলেই কোথাও মারামারি, উনি সদাই ready জেনো ।
"অন্য পাড়ার" মেয়েরা সব ওকেই নাকি পূজো করে?
মন্দ লোকের কাজ নেইকো মন্দ কথা বলে মরে ।
ওরই মধ্যে সরস্বতী- শান্তশিষ্ট নাতনী আমার,
দেবী তিনি লেখা পড়ার, শিল্প এবং সা রে গা মা র।
ওসব এখন obsolete, চলছে লারেলাপ্পা
গান -
লেখাপড়ার নাম নেইকো, six figure টি
আগেই চান
লক্ষী ছাড়া, আর কারো কদর নেইকো তেমন
মর্ত ধামে
দুর্গা পূজো করছে বটে, কেবল ফুর্তি
করার নামে ।
আগে আগে সারা বছর কাটতো শুধু আশা নিয়ে
–
উমা আমার আসবে ঘরে সোনার নূপুর পায়ে
দিয়ে ।
ঝলমলিয়ে ঊঠবে হেসে গিরিরাজের আঁধার
গেহ
চারটি দিনের তরে ও মা । দুখিনি এই
মায়ের স্নেহ
দিতাম তোমায় উজাড় করে। সেদিন এখন বহু
দূরে
তুমিও মাগো পালটে গেছো, আমরা বাজি
বেসুর সুরে ।
বাড়লো যেমন family তোমার, আমরা দুজন
হলাম বুড়ো –
অত জনের বাসমতী চাল, পাঁঠার মাংস,
মাছের মুড়ো
কোথায় যে পাই! এখন যে তাই মহালয়ার
পরে পরেই -
আমার বুকে palpetition, গিরিরাজ তো
পড়েন জ্বরেই ।
বলবো আমি আমার কথা – দুঃখ তুমি পাও বা না পাও –
সবার মেয়ে মাকে দেখে, তুমি তো মা ফিরেও না চাও ।
বলবো এসব গৌরী মাকে, আমার মনের যত কথা –
মেয়ে আমার বুঝবে না কি মা মেনকার মনের ব্যথা?

No comments:
Post a Comment
Please leave your comments