হাতীর দাঁতের তৈরী আমার মিনারটি বড্ড উঁচু
যাদের বাস মাটিতে তাদের চোখে পড়েনা যে
সুদ্ধ যখন প্রবল ঝড়ে ওদের ঘরের চাল উড়ে যায়
তখন দেখতে পাই ওদের ঘর-কন্না ।
আট ফুট বাই আট ফুট ঘরে
কুকুর কুন্ডলী হয়ে ঘুমিয়ে থাকে
এ ওর গায়ে পা তুলে দেয় ঘুমের মধ্যে
কি গাঢ় ঘুম ওদের!
আমি বিশাল পালঙ্কে একা শুয়ে থাকি,
কড়া ঘুমের ওষুধ খেয়েও
ঘুম আসেনা ।
ওরা পচা ধসা খেয়ে বেঁচে থাকে
ভালো মন্দ খাবার পয়সা কোথায়?
আমার মানি ব্যাগ ভর্তি টাকা, কিন্তু
পোলাও কালিয়া খাওয়া ডাক্তারের মানা
লোভে পড়ে একটু খেলে বুক জ্বালা আর চোঁয়া ঢেঁকুর ।
বৃষ্টি এলে ওদের ঘর জলে ভাসে -
বড়রা হাঁড়ি কুঁড়ি গুলো তুলে দেয় তক্তপোসের ওপর -
বাচ্চা গুলো আল্হাদে চিৎকার করে আর
দু হাত তুলে বৃষ্টির জলে ভিজতে ভিজতে নাচে।
আমার ছেলেটা তার বিষন্ন চোখ দুটো
কাঁচের জানলায় ধরে রাখে
তার বৃষ্টি ভেজা এক্কেবারে বারণ -
ভিজলেই জ্বর আসে ।
ঈশ্বর, আমাকে ক্ষমা কোর
ওদের বঞ্চিত করে আমি আমার ইমারত গড়েছি
আমার নিজের গড়া সোনার খাঁচায়
আমি স্বেচ্ছা নির্বাসনে ।
ঈশ্বর, তুমি শুনলে কি আমার ডাক?
তাই কি পাঠালে ঐ আমফান দৈত্য-ঝড়টাকে ?
ঝড়ের দাপটে চুরমার হল আমার ইমারত
নেমে এলাম ওই গৃহহীন সর্বহারা মানুষগুলোর
সঙ্গে - একই সরল রেখায় !!

No comments:
Post a Comment